A non-governmental organization (NGO) holding Special Consultative Status with the United Nations Economic and Social Council (UN ECOSOC)
বাজারে শাক-সবজির দামে নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তাদের। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন। সরাসরি কৃষক থেকে ভোক্তাপর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে শাক-সবজি পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন। যতদিন পর্যন্ত দ্রব্যেমূল্যের দাম অসহনীয় পর্যায়ে থাকবে ততদিন এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বহদ্দারহাট পুকুর পাড়ে শুরু হয় এই 'ক্রয়মূল্য বিক্রি' কার্যক্রম যা মাসব্যাপী চলবে। সাশ্রয়ী দামে সবজি কিনতে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভিড় করছে মানুষ। আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ক্রয়মূল্যে বিক্রির দোকানে বেশ কয়েক ধরনের সবজি মিলছে। এখানে লাউ ১৭ টাকা, শসা ৪০ টাকা, ঝিঙা ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪৫ টাকা, পেপে ২৫ টাকা, খিরা ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, তিতা করলা ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার করতে আসা এক পথচারী জানান, ‘বাজার করতে বাজারে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে ক্রয়মূল্যে সবজি বিক্রির কার্যক্রম এখান থেকে খুবই স্বল্প মূল্যে এখান থেকে বাজার করে নিয়ে যাচ্ছি। যা যা কিনলাম তাতে কম হলেও আমার ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা সেইভ হয়েছে।’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, বাজারে এখন কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণে নেই। গরিবের ক্রয় সীমার বাহিরে সবজির বাজার চলে গেছে তাই সাধরাণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সংগঠনের পক্ষ থেকে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছি। সবার দোয়া ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। আগামীতে আরও কয়েকটি স্থানে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সফল আমরা হবই ইনশাআল্লাহ। এরই মধ্যে আমাদের ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির কার্যক্রম দেখে অনেক পাড়া-মহল্লায় ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি শুরু করেছেন। সবজি সিন্ডিকেট না ভাঙা পর্যন্ত আমাদের সাধ্য অনুযায়ী এই কাজ কার্যক্রম চলবে।’